বিল্লাল হোসেন প্রান্ত। মাটি ও মানুষ।
ময়মনসিংহের মর্যাদাপূর্ন ও গুরুত্বপূর্ণ আসন ময়মনসিংহ-৪ সদর। এটি আওয়ামী লীগের ঘাটি।
এবার আওয়ামী লীগের এমপি চায় জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা। দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মেলাতে পারেনি ময়মনসিংহ সদর। কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত সদর। প্রতিশ্রুতি আর প্রাপ্তির হিসেবে ক্রমেই বেড়েছে ভোগান্তি। সরকারের ১৪ বছরের দুই মেয়াদে এখানে সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি। পুরো মেয়াদে তিনি এলাকায় আসতে পারেননি। অসুস্থ হয়ে থেকেছেন ঢাকায় অথবা দেশের বাইরে। নির্বাচনি এলাকায় এমপির অনুপস্থিতিতে জাপার কেউই ভূমিকা রাখতে পারেননি। তারা বলেন এমপি না আসতে পারলেও এলাকার খোজঁখবর রাখেন। প্রশ্ন উঠেছে খোজঁখবর রাখলে দুই মেয়াদে তিনি জনগণের জন্য কি করেছন?
সদরের কাঙ্খিত উন্নয়ন ও প্রত্যাশার স্বার্থে এবার আওয়ামী লীগের এমপি অতি জরুরী। সে হিসাবে জাপার জন্য সদরের পাশ্ববর্তী যেকোন আসন ছাড় দেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন অভিজ্ঞতা মহল। সাধারণ জনগণ মনে করেন এবার জাপার চয়েজ নয়,আসন নিশ্চিত করা জরুরী। বিভাগীয় শহরের গুরুত্ব অনুযায়ী সদরকে বার বার বলি হতে হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পরবে সংগঠনে এবং জনপ্রত্যাশিত নেতৃত্বের উপর।
ময়মনসিংহ-৪ সদর আসন প্রয়াত ধর্মমন্ত্রী আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নির্বাচনী এলাকা। জনপ্রিয়তায় তিনি ছিলেন বিকল্পহীন। বর্তমানে এই আসনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন মতিউর রহমানের পুত্র মোহিত উর রহমান শান্ত। তিনি এখানে জনপ্রিয়,জনপ্রত্যাশিত প্রার্থী। আওয়ামী লীগ হাইকমান্ড তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তবে শরিক দল জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদকে আবারও সদর আসনটি ছাড় দিলে দলীয় নেতাকর্মী ও জনগণের মনোবল ধরে রাখা যাবে না। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এবার জাপাকে দিলে ময়মনসিংহ সদর-৪ আসনটি মহাজোটের হাতছাড়া হতে পারে। জনগণের আস্থা হারাবে আওয়ামী লীগ। ময়মনসিংহ সদরকে আওয়ামী লীগের ঘাটি বলা হয়। এখানকার মানুষ নৌকা পাগল। বার বার আসনটি ছাড় দেয়ায় এখানকার জনগণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তিক্ত,বিরক্ত।
কৌশলগতভাবে বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও তাদের প্রার্থী অংশ নিবে। ময়মনসিংহ সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন, সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান দুলু। দুলু রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও ভোটযুদ্ধে তার বিশেষ সমীকরণ আছে। চরাঞ্চলে তার নীরব ভোটব্যাংক আছে আর সেটিই কাজে লাগাতে বিএনপি তাকে দিয়ে নির্বাচন করাতে পারে বলে মনে করে অভিজ্ঞ মহল। বিএনপি নির্বাচনে আসলে মনোনয়ন চাইবেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ। ওয়াহাব আকন্দ গত নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থী বেগম রওশন এরশাদের প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন।